ঈদের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মাস্ক বাধ্যতামূলক
- স্বাস্থ্য পরিবেশ - জনস্বাস্থ্য
- ০৬ মে ২০২০ - ৫ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ৪০৪৫৭
ঢাকা, ৬ মে ২০২০, বুধবারঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে শপিংমল ও দোকানপাটে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। চিঠিতে এমন নির্দেশনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, "সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা/উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট ও শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাট-বাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।"
চিঠিতে বলা হয়, "প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালল ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া কোনো... ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সব বিক্রেতা, দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পরতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহনকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।"
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্তঅতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবে বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। তবে জরুরি পরিষেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রফতানি সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন কাজে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে। সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আসন্ন ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিজ নিজ এলাকা/কর্মস্থলে থাকতে হবে এবং আন্তঃজেলা/উপজেলা/বাড়িতে যাওয়ার ভ্রমণ থেকে নিবৃত্ত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, দেশের সব ব্যবসায়িক সংগঠন ও চেম্বারের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য